মুখের তৃতীয় অংশ দন্ত, যাকে আমরা চলতি কথায় দাঁত বলি। এই দন্তই সমস্ত খাদ্যকে (দমিত) দুমড়ে দিয়ে পিষ্ট করে অর্থাৎ পিষে দেয়। এই দাঁত না থাকলে, কোন কঠিন জিনিসকে কেবল মাড়ির দ্বারা পিষে গলাধঃ করানো গেলেও তাকে পরিপাক করার উপযোগী করে পাঠানো আয় না। তাই শৈশবের দাতগুলিকে অবশ্যই যত্ন নিতে হয়।
তারপরে দাঁত পড়ে গিয়ে যে দাঁত উঠে তাও অনেকের যৌবনেই পড়ে যায়। তাই অকালে কেন পড়ে, তারই রোগ নির্ণয়ের প্রসঙ্গে আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে দাতে রোগ হয় আট প্রকারের- কোনটি যে হবে বা হবে না সেটা নিদির্ষ্ট করা সম্ভব নয়- তবে প্রাচীনেরা বলেন- দাঁতের রোগের ক্রম থাকলেও কোন ক্ষেত্রে ব্যক্ত থাকে, কোন ক্ষেত্রে অব্যক্ত থাকে, কোন ক্ষেত্রে অব্যক্ত হয়েই রোগ সৃষ্টি করে।
দালনঃ
এ এক ধরনের দাঁতের রোগ- এটির সম্পর্কে বলা হয়েছে- প্রথম প্রথম মনে হয় দাঁতগুলি শিরশির করছে, একটু গরম জল খেলে ওটা কমে যায়। তারপর কয়েকদিন পরে আবার দেখা দেয়, তখন মনে হয় দন্তগুলোতেই বোধ হয় ফাট ধরেছে। আবার অনেকে আয়না ধরে দেখেন দাঁতের মধ্যে কোন কোনটা ফেটেই গিয়েছে। এদের প্রকৃতি হয় বাত প্রকৃতির তাদেরই এ ধরনের রোগ দাতে। এই দালন শব্দটি এসেছে “দারণ” থেকে। আমরা প্রচলিত ভাষায় বলি ফাটা। দাঁতগুলি ফাটা ফাটা হলেই জানতে হবে এটি দালন ব্যাধি। এই ব্যাধিরও অরিষ্ট লক্ষণ হয় যদি এর সঙ্গে দাঁতে প্রচণ্ড যন্ত্রনা হয় আর দাঁতের গোড়া ফেটে রক্ত পড়তে থাকে-তখন ওস সব কাঁচা দাঁতও তুলে ফেলতে হয়।
[ তথ্যসূত্রঃ চিরঞ্জীব বনৌষধি, চতুর্থ খন্ড ]

